আজকে আমি আপনাদের সামনে নিয়ে হাজির হলাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যাদি যা মোবাইল কোম্পানী সম্পর্কিত। এই পোস্ট এর পর আপনারা জানতে পারবেন যে এই 2022 সালেও, যেখানে মানুষ এতটা স্মার্ট হবার পরেও কীভাবে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের বোকা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে মোবাইল কোম্পানী গুলো। আপনারা হয়তো আমার কথাগুলো শুনে অনেকটাই ক্ষিপ্ত হচ্ছেন। এবং হয়তো ভাবছেন যে কেনো আমি সমস্ত ফোন কোম্পানী গুলোকে এইভাবে দোষারোপ করছি। অনুগ্রপূর্বক ঠান্ডা মাথায় আমার পোস্ট দুটি (এই পোস্টের দুইটি পড়বো আসতে পারে একটি পড়বে বুঝানো সম্ভব না ও হতে পারে। ) সম্পূর্ন পড়ে শেষ করুন তারপর হয়তো আপনি বুঝতে পারবেন আমি আসলে কী বুঝাতে চাইছি।
আজ আমি আপনাদের সামনে যে সকল তথ্য গুলো শেয়ার করবো সেই তথ্য গুলো আপনি বেশিরভাগ বড় বড় ইউটুবার বাড় বড় ব্লগার থেকেও হয়তো পাবেন না। মোবাইল কোম্পানী গুলো বেশিরভাগ youtuber বা বেশির ভাগ বড়ো বড়ো ব্লগার দের কে তাদের ফোন ফ্রিতেই ব্যাবহার করতে দেয়। এরপর ব্লগার বা youtuber রা তাদের ফোন রিভিউ করে। রিভিউ করার পর তাঁরা মোবাইল কোম্পানী গুলো মোটা অংকের টাকাও পায়।
এক কথায় বলা যায় যে রিভিউ করা youtuber বা ব্লগার দের কে ফোন কোম্পানী গুলো অলরেডি টাকা দিয়ে কিনে রেখেছে। ফলে youtuber, ব্লগার কখনোই নিচের দেওয়া তথ্যগুলো শেয়ার করবে না। এই সমস্ত তথ্য গুলো শুধু তারাই শেয়ার করবে যারা কখনো কোনো প্রডাক্ট রিভিউ করেনি। যেমন আমি নিজে। আমি নিজেকে নিজেই সাজেস্ট করলাম কারণ আমি জীবনেও কোনো প্রডাক্ট রিভিউ করি নাই তাই আমার সাথে ফোন কোম্পানী গুলোর কোনো টাকাপয়সার লেনদেন ও হয়নাই। তাই বলা যায় যে আমার ব্লগ পোস্টে দেওয়া তথ্য আর রিভিউ করা ব্লগার দের ব্লগ পোস্টে দেওয়া তথ্যের ভিন্নতা থাকতেই পারে।
ভিডিও রেকর্ডিং ও রিফ্রেশ রেট
ঠিক এমন ই একটি গুরুতবপূর্ণ ও জরুরি টপিক হলো 4k video অথবা 8k Video রেকর্ডিং। মোবাইল এর মাধ্যমে একটি 8k ভিডিও রেকর্ডিং করার পরে সেটা অন করে 4k ও 8k উভয় ভিডিও তফাৎ মোবাইল এর ছোটো স্ক্রিন এ বুঝানো সম্ভব নয়। ফোন কোম্পানী নিজেও জানে যে আমরা এই ছোটো স্ক্রিনে 4k ও 8k এর তফাৎ বুঝতে পারবো না। তাছারা যদি আমি 4k বা 8k Video রেকর্ডিং করে সবাই কে শেয়ার করি তারা নিশ্চয় ভিডিও টি মোবাইল এ ওপেন করবে। কারন 4k video দেখার জন্যে উপুযুক্ত ডিভাইস বেশির ভাগেরই কাছে থাকেনা। তাহলে এই 8k, 4k এর লাভ টাই বা কি?
আজকাল মার্কেটে 90 hrz এর উপর ১২০ ও 140 hrz এর o রিফ্রেশ রেট পাওয়া যায়। আমি যতটা দেখতে বা বুঝতে পেরেছি যে 90 hrz এর উপর 120 140 hrz এইসব এ তফাৎ বেশী একটা আছে বলে আমার মনে হয়নি কখনও। ইহা মোবাইল এর এক প্রকার মার্কেটিং বলে আমার মনে হয়। মার্কেটিং টেকনিক ছাড়া অন্য কিছু বলে এই রিফ্রেশ রেট কে মনে হয় না।
মেগাপিক্সেল, ক্যামেরা
এবার মেগাপিক্সেল এর কথায় আসি। আজকাল যত বেশী নতুন নতুন ফোন বাজারে আসছে সমস্ত ফোনে আগের থেকে মেগাপিক্সেল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সকলেই অলরেডি জেনেও গিয়েছি আগামী মাসে 200 মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা যুক্ত ফোন বাজারে লঞ্চ করতে চলেছে। কিন্ত আমার কথা হচ্ছে যে, মানুষের মনে কখনো কী এই প্রশ্ন টি আসেনি যে অসলেই কি একটি ক্যামেরার মেগাপিক্সেল ই সবকিছু? মেগাপিক্সেল বেশি হলেই কি ক্যামেরা ও ইমেজ এর কোয়ালিটি ভালো হয়ে যায়?
তাহলে আমার ফোন এর 48 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এর থেকে 20 মেগাপিক্সেল DSLR ক্যামেরার ইমেজ কোয়ালিটি ভালো হয় কিভাবে? এই মেগাপিক্সেল প্রসেস টি তো মনেহচ্ছে শিউর একটি Marketing Process?
এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর যেয়ে আমি পেলাম যে মেগা পিক্সেল শুধু মাত্র একটাই সুবিধা আমাদের কে দিয়ে থাকে আর সেটি হচ্ছে হাই রেজ্যুলেশন এর ছবি তুলা যায়। কিন্ত একটি ইমেজ এর ভালো কোয়ালিটির জন্যে শুধুমাত্র মেগাপিক্সেল ই যথেষ্ট নয়। আসলে একটি ইমেজ এর ভালো কোয়ালিটি এর জন্য মেগাপিক্সেলের পাশাপাশি ইমেজের সেন্সর, লেন্স ও ইমেজ প্রসেসিং ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এই তিনটি বিষয়ের উপর মোবাইল কোম্পানি গুলো একদমই গুরুত্ব দেয় না ফলে ভালো রেগুলেশন ইমেজের কোয়ালিটি ভালো হয়না। তাছারা এই মেগাপিক্সেল বর্তমানে এতটাই বেশী হয়ে গিয়েছে ইহা শুধুমাত্র মার্কেটিং হয়ে গেছে। এখন এই মেগাপিক্সেল এর সাথে ইমেজ কোয়ালিটির কোনো সম্পর্ক নেই। ইহা এখন শুধুমাত্রই মার্কেটিং।
তো আজকে আমি আর কিছু লিখছি না। আজকের পোস্ট টি আমি এখানেই সমাপ্ত করছি। আগামী পর্বে আমি রেম, প্রসেসর, ব্যাটারি এর মার্কেটিং এর ব্যাপারে বলবো।
0 Comments for "দেখুন কিভাবে মোবাইল কোম্পানি গুলো আমাদেরকে বোকা বানাচ্ছে!"